চুনারুঘাটে বিএনপির সমাবেশে জিকে গউছ ॥ আমার উপর যারা জুলুম নির্যাতন করেছে তারা এখন
নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- বিগত ১৫টি বছর আমি যে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি তার কোনো সীমা ছিল না। আমাকে কুমিল্লার কারাগারে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল। ৩ মাস আমাকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয়নি। আমি যখন মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছিলাম তখন আমাকে ভাত দেয়া হলো, কিন্তু ভাতে রাস্তার বালু মিশ্রিত করে দেয়া হতো। আমাকে হবিগঞ্জ কারাগারে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, কুখ্যাত এক খুনী যুবলীগ কর্মী আমাকে ছুরিকাঘাত করেছে। কারাগারে আমাকে চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। অসংখ্য মিথা মামলা দিয়েছে, বছরের পর বছর কারাভোগ করেছি। যারা আমার উপর এই জুলুম নির্যাতন করেছে তারা এখন দেশ ছেড়ে, পরিবার পরিজন ছেড়ে, নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের বাসা বাড়িতে এখন বাতি জ্বলে না। এটাই মহান আল্লাহর বিচার।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চুনারঘাট উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার জুলুম নির্যাতনের স্মৃতিচারণ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমাবেশে জি কে গউছ আরও বলেন- ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে। এখনও ফ্যাসিবাদী হাসিনার দোসররা বিভিন্নভাবে দেশে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার আমলে আমি সহ বাংলাদের হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী বিনা অপরাধে আদালতের ফরমায়েসী রায়ে মাসের পর মাস জেল কেটেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শত শত ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের বিচার হবে, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি বলেন- নিজে কখনো অন্যায় করিনি, কাউকে অন্যায় করার সুযোগও দেইনি। বিএনপি করতে হলে কোনো অন্যায়ের সাথে নিজেকে জড়ানো যাবে না। যারাই অন্যায় করবে, পাপের সাথে নিজেকে জড়াবে তাদেরকে ধরে প্রশাসনের হাতে সোর্পদ করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মীর সিরাজ আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হাজী এনামুল হক।
বক্তব্য রাখেন- চুনারুঘাটের সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন শামসু, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব হোসাইন আলী রাজন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মাস্টার, সাবেক উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ফটিক, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল করিম সরকার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম তালুকদার শ্যামল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এডভোকেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সদস্য সচিব লুৎফুর রহমান জালাল, যুগ্ম আহবায়ক সফিক মিয়া মহালদার, সৈয়দ আবু নাঈম হালিম, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিক তালুকদার, সদস্য সচিব কামরুল হাসান মাসুম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শামীম তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ছিদ্দিকী, কলেজ ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কুতুব আলী মীর, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল হৃদয় প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :